আজ আমি তোমাদের কতগুলি শিক্ষামূলক মজার গল্প বলছি।
১. খরগোশ ও কচ্ছপএর কথা :-
একদা এক জঙ্গলে একটি অহংকারী খরগোশ থাকতো, কেন তাকে অহংকারী বলা হতো? কারণ সে খুব জোরে দৌড়োতে পারতো বলে মনে করতো যে তাকে কেউ দৌড় প্রতিযোগিতায় হারাতে পারবে না। এই জন্য সে খুব নিজেকে নিয়ে অহংকার করতো সকলের কাছে।
একদিন একটি কচ্ছপ ওই অহংকারী খরগোশ এর ঘরের সামনে দিয়া নিজের কাজে যাচ্ছিলো। তোমরা তো জানোই যে কচ্ছপ কত ধীরে ধীরে চলে। খরগোশ তার এই ধীরে ধীরে হাঁটা দেখে খুব হাসছিলো। তার এই হাসি দেখে কচ্ছপ এর রাগ হলো, তখন সে বললো "ও ভাই খরগোশ, আমি এই গরমে কষ্ট করে কাজ করছি, আর তুমি কিনা আমায় দেখে হাসছো ?"
খরগোশ তখন কোনো রখমে হাসি থামিয়া উত্তর দিলো, "আমি তোমার কষ্ট দেখে হাসছি না, তোমার ধীরে ধীরে হাঁটা দেখে হাসছি। তুমি এতো ধীরে ধীরে হাটতে থাকলে তোমার কাজ ই তো শেষ করতে পারবে না।"
কচ্ছপ তখন বললো, " আমার কাজ আমি ঠিক ই শেষ করবো, এবং নিজের সময় মতো শেষ করবো, আমি তোমার মতো এত অলস নোই, যে দ্রুত দৌড়োতে পারো বলে কাজ না করে বসে থাকো।" এই কথা শুনেই খরগোশ রেগে গেলো, "আমায় তুমি অলস বললে?" " চলো দেখি কে কার নিজের কাজ আগে শেষ করতে পারে। "
এই বলে খরগোশ ও কচ্ছপ দুজনেই এক প্রতিযোগিতা করবে বলে ঠিক করলো। দৌড়ে গিয়ে জঙ্গল থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হবে এবং নিজের নিজের ঘরে রাখতে হবে। সারা দিনের শেষে যার ঘরে বেশি খাবার থাকবে সেই প্রতিযোগিতা জিতবে।
পরেরদিন সকালেই প্রতিযোগিতা শুরু হলো, খরগোশ খুব গতিতে দৌড়ে যায় আর খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসে নিজের ঘরে। কিন্তু কচ্ছপ ধীরে ধীরে খাবার সংগ্রহ করে। কিছুক্ষন পর খরগোশ দেখলো তার ঘরে বেশি খাবার জোগাড় হয়ে গেছে, তাই সে ঠিক করলো একটু ঘুমিয়ে নিয়ে আবার কাজে লাগবে, কারণ কচ্ছপ এত তাড়াতাড়ি তার সমান খাবার জোগাড় করতে পারবে না। এই ভেবেই খরগোশ ঘুমিয়ে পড়লো। কিন্তু কচ্ছপ তার নিজের খাবার জোগাড় এর কাজ করে যেতে থাকলো সারা দিন ধরে, কারণ সে কচ্ছপ এর মতো অলস নোই।
সারা দিনের শেষে যখন খরগোশ এর ঘুম ভাঙলো তখন আর তার কিছুই করার নেই, কচ্ছপ সারা দিন ধীরে ধীরে অনেক খাবার জোগাড় করে ফেলেছে, যেটা খরগোশ এর থেকে অনেক বেশি,।
কচ্ছপ এই প্রতিযোগিতা জিতে গেলো ও খরগোশ কে বললো," ভাই খরগোশ তোমার অহংকার ও অলসতা তোমায় এই প্রতিযোগিতা জিততে দিলো না। "
0 মন্তব্যসমূহ