সুস্থ থাকার সঠিক উপায় . Sustho Thakar Upay:-
যেমনটা আমরা সকলেই জানি, “যে স্বাস্থ্যই সম্পদ”। দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার উপায় হল, ভালোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। স্নান ও সংযম, পোশাক পরিচ্ছদ, বিশ্রাম, সুনিদ্রা, খাদ্য, পানীয়, আলো, বাতাস, এই কয়েকটি জিনিসের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। এরপরেও আমাদের শরীরে যদি রোগের দেখা দেয় তবে প্রথমে ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে।
আমাদের বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর এবং লঘুপাচক খাবার খাওয়া উচিত। খাবার আধঘন্টা পর জল খাবেন। পেটের সমস্যা থাকলে উষ্ণ জল খাবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবারের পরিমাণ কমাতে থাকবে।
আমরা সাধারণত ছয় প্রকারের খাবার গ্রহণ করি।
- ভিটামিন জাতীয়,
- প্রোটিন জাতীয়,
- চর্বি জাতীয়
- শর্করা জাতীয়
- লবণ জাতীয় এবং
- জল।
জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। প্রতিদিন যদি কিছুটা সময় রোদে থাকতে পারেন তবে শরীর নীরব থাকবে। প্রাতঃভ্রমণ এবং ব্যায়াম, শরীরের পক্ষে খুবই উপযোগী। স্নান করার সময় যদি স্নানের জলে সামান্য পরিমাণ নুন মিশিয়ে নেন তো খুবই ভালো হয়। ঘুমোবার সময় চেষ্টা করবেন অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোবার। শাকসবজি তড়িৎ তরকারি ফলমূল সবসময় ধুয়ে খাবেন।
প্রোটিন জাতীয় খাদ্য দেহের তাপ উৎপাদন করা ক্ষয় পূরণ করা দেহের উপাদান নির্মাণের সহায়তা করাতে সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য শরীরের তেজ কর্ম ক্ষমতা ইত্যাদিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। ফ্যাট জাতীয় খাদ্য মেদ বা চর্বি তৈরি করাতে সাহায্য করে। ভিটামিনের অভাবে জীবনীশক্তি কমে যায়, রোগ প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক ক্ষমতাও কমে যায়, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে যার ফলে বিভিন্ন রোগের সূচনা হয়।
বিভিন্ন ভিটামিন এর উৎস :-
- ভিটামিন এ : ফল, দুধ, মাখন, ডিম, মাছের তেল, পালং শাক, টমেটো, রঙিন আলু, গাজর, মটরশুটি, বাঁধাকপি, লাউ, পাকা আম, ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
- ভিটামিন বি : টমেটো, আলু, সিম, ভুট্টা, জবের ছাতু, ডাল, কড়াইশুঁটি ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
- ভিটামিন সি : লেবু, আপেল, আনারস, কলা, পেঁয়াজ, দুধ, ছোলা, জব ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
- ভিটামিন ডি : কড লিভার অয়েল, সার্ক লিভার অয়েল, ডিম, পাঁঠার মেটে, ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন, বড়ি, আচার ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
- ভিটামিন ই : নারকেল, কলা, বাদাম, সোয়াবিন তেল, মাংস, ডিম, ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
0 মন্তব্যসমূহ